বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপযোগি কিনা জানার উপায় - Itblogbd

বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপযোগি কিনা জানার উপায়

টাকা লেনদেনের ধারণাকে পাল্টে দিয়েছি বিকাশ। বিকাশ বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটি মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যম। খুব সহজেই টাকা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠানো যায় বলে খুবই জনপ্রিয় একটি মোবাইল ব্যাংকিং হচ্ছে বিকাশ। মোবাইল ব্যাংকিং এর অন্যতম মাধ্যম বিকাশ।

বিকাশ আমাদের নিত্যদিনের জীবন কে সহজ করে ফেলেছে। বিকাশের নতুন নতুন ফিচার যোগ করেছে মোবাইল ব্যাংকিং এ নতুন মাত্রা। টাকা পাঠানো, মোবাইল রিচার্জ, ঘরে বসে বিদ্যুৎ বিল দেয়া সহ অন্যান্য অনেক সুবিধার জন্য বিকাশ অল্পতেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাছাড়া কিছুদিন পরপর বিকাশ ক্যাশব্যাক অফার দিয়ে থাকে যার কারনে বিকাশ খুব অল্প সময়ে মানুষের মাঝে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপযোগি কিনা জানার উপায়

বিকাশ অ্যাপ থেকে লোন

বিকাশের নতুন একটি ফিচার হলো, বিকাশ লোন। বিকাশ এখন তাদের ব্যবহার কারীদের একটি নির্দিষ্ট লিমিট পূরণ করলে লোন দিচ্ছে। আজকের আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন আপনি বিকাশ লোন নেওয়ার জন্য উপযোগী কিনা?

যদি আপনার ও একটি বিকাশ একাউন্ট থাকে তাহলে আশাকরি আপনি উপরোক্ত সুবিধা গুলো উপভোগ করেছেন। এবং আপনি চাইলে বিকাশ থেকে লোন নিতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ বিকাশ অ্যাপ দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়

অনেক সময় আমাদের টাকার প্রয়োজন হয় কিন্তু আমাদের কাছে টাকা থাকে না। তুই আমাদের মানুষের কাছে টাকা ধার নিতে হয়। অসহায় মানুষের কাছে টাকা ধার পাওয়া যায় না। এসময়ে আপনি বিকাশ থেকে লোন নিতে পারবেন, সেই লোন কিছু মুনাফা সহ বিকাশকে পরিশোধ করতে হবে। এখন এই লোন সুবিধা সবাই পাবে না কিছু নির্দিষ্ট গ্রাহক বিকাশের এই লোন সুবিধাটা পাবেন।

আপনি বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপযোগি কিনা জানার জন্য এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন আশাকরি জানতে পারবেন।

বিকাশ থেকে লোন পাব কিনা জানার উপায়:

বিকাশ থেকে লোন পাবেন কিনা এটা নির্ভর করে আপনার মাসিক লেনদেনের উপর। বিকাশ অ্যাপে আপনার লেনদেনের হিসাব জমা থাকে তাছাড়া বিকাশ কতৃপক্ষের কাছেও এই হিসাব থাকে।

বিকাশ তাদের অ্যাপে একটি এলগরিদম সেট আপ করে দিয়েছে যার মাধ্যমে বিকাশ অ্যাপের এলগরিদম আপনার লেনদেন এবং অন্যান্য অনেক বিষয়াদি সম্পর্কে জেনে নিয়ে, আপনি বিকাশ থেকে লোন নেয়ার উপযোগি কিনা সেটা জানিয়ে দেবে।

এখন আপনি বিকাশ থেকে লোন পাবেন কিনা সেটা জানার জন্য প্রথমে বিকাশ অ্যাপে প্রবেশ করে লগ ইন করুন। যাদের লগ ইন করা আছে তারা পাসওয়ার্ড দিয়ে বিকাশ হোমপেজে আসুন। এরপর বিকাশ হোমে অনেক গুলো অপশন দেখতে পারবেন এখান থেকে লোন অপশনে ক্লিক করুন। যদি লোন অপশনটি আপনার হোমপেজে না থাকে তাহলে আরও বাটনটিতে ক্লিক করুন এবং পরবর্তি পেজ থেকে লোন অপশনে ক্লিক করুন।

যদি আপনি লোন পাওয়ার উপযোগি হন তাহলে কতটাকা লোন পাবেন সেটা নিচের পেজে উল্লেখ করা থাকবে এবং যদি উপযোগি না হন তাহলে নিজের পেজের মতো "আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋন প্রদানের নিতিমালা অনুসারে আপনি লোন বা ঋন পাওয়ার উপযোগি নন" লেখা থাকবে। 

আরও পড়ুনঃ বিকাশ একাউন্ট কার আইডি দিয়ে খোলা জানার উপায়

যদি আপনি ঋন নেয়ার উপযোগি হন তাহলে এই লেখাটা থাকবে না এখানে টাকার পরিমান দেয়া থাকবে এবং আপনি চাইলে এক ক্লিকেই ঋন নিতে পারবেন এবং সাথে সাথে সেটা আপনার বিকাশ একাউন্টে জমা হবে।

বিকাশ ঋণ নেওয়ার সুবিধা:

সাধারণত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ নিতে হলে সেই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে  যেতে হয়। তাছাড়া ঋণ নেওয়ার সময় বিভিন্ন ডকুমেন্ট জমা দেওয়া লাগে। বিকাশের কাছে যেহেতু আগে থেকেই জাতীয় পরিচয় পত্র ও ছবি দেওয়া আছে তাই কোন ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন হয় না। আপনি ঋণ নেওয়ার যোগ্য হলে শুধু মাত্র এক ক্লিক করার মাধ্যমে ঋণ নিতে পারবেন। নিচে বিকাশ থেকে ঋণ নেওয়ার সুবিধা গুলো তুলে ধরা হলো।
  • ঘরে বসেই যেকোন সময়ে ঋণ নেওয়া যায় বলে সময় নষ্ট হয় না।
  • কোন প্রকার কাগজপত্র বা ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়না।
  • মোবাইলের মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করা যায় বিধায় সময় অর্থ সাশ্রয় হয়।
  • ইলেকট্রনিক মাধ্যম হওয়ার জন্য দ্রুত ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধ করা সম্ভব হয়।
  • যেকোনো সময় প্রয়োজনীয় মুহূর্তে ঋণ গ্রহণ সম্ভব হয়।
বিকাশ যেহেতু ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং সিস্টেম তাই সময়, অর্থ ও কষ্ট লাঘব হয়। মুহূর্তেই ঋণ গ্রহণ সম্ভব হওয়ার ফলে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে টাকা জোগাড় হয়। সহজেই ঋণ পরিশোধ করা যায় বলে কোন প্রকার ঝামেলা হয় না।

বিকাশ থেকে ঋণ গ্রহণের অসুবিধা:

প্রত্যেকটি বিষয়ে কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে বিকাশ এর ব্যতিক্রম নয়। বিকাশ থেকে ঋণ গ্রহণের যেমন অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে তেমনি রয়েছে এর কিছু অসুবিধা। কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে বিকাশ থেকে ঋণ গ্রহণের জন্য। এই সীমাবদ্ধতাগুলো জেনে রাখা প্রয়োজন।
  • নির্দিষ্ট লিমিট পূর্ণ না করলে, ঋণ গ্রহণ করতে না পারা।
  • তিনবারের বেশি বিকাশে ভুল পিন দিয়ে লগইন করতে গেলে একাউন্ট সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া। 
  • প্রয়োজনের সময় বিকাশ এজেন্ট না থাকলে ক্যাশ আউট করতে না পারা।
বিকাশের সুবিধার পাশাপাশি এসব অসুবিধাও রয়েছে। মূলত সুবিধার দিক বিবেচনা করতে গেলে অসুবিধা দিক বিবেচনা করা যায় না।

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ:

বিকাশ বা অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানের থেকেই আপনি ঋণ গ্রহণ করেন না কেন নির্দিষ্ট একটি মুনাফা বা সুদ আপনার কাছ থেকে নেওয়া হবে। আপনি যদি ইসলাম ধর্ম পালন করে থাকেন তাহলে সুদ দিতে বা নিতে পারবেন না। কারণ ইসলামে সুদ হারাম। আর itblogbd.com ইসলাম বহির্ভূত কোনো কাজ বা পাপ কে সমর্থন করে না। তাই আপনি যদি ঋণ গ্রহণ করেন থাকেন তার সম্পূর্ণ দায় আপনার। এজন্য itblogbd.com দায়ী থাকবে না।

আমাদের শেষ কথা:

আজকে আমরা বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে জানলাম। বিকাশ আমাদের জীবনকে নানাভাবে সহজ করে তুলেছে সে বিষয়ে জানতে পারলাম। আশাকরি আপনি বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপযোগি কিনা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন।

Please Share this On:

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url