কম দামে ভালো গেমিং মোবাইল ২০২১
বর্তমানে অনলাইন গেম গুলো খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে পাবজি এবং ফ্রী ফায়ার। আর এই গেমগুলো খেলার জন্য দরকার হয় একটি ভালো প্রসেসর যুক্ত মোবাইলের।
বর্তমানে মোবাইল কোম্পানিগুলো প্রতিনিয়ত কম দামে ভালো গেমিং মোবাইল রিলিজ করতেছে। প্রত্যেক কোম্পানি চাচ্ছে তাদের মোবাইল গুলোকে গেমিং ডিভাইস হিসেবে পরিচিত করার।
যেহেতু মোবাইল কোম্পানিগুলো একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতা করে গেমিং ডিভাইস লঞ্চ করতেছে। সেক্ষেত্রে গেমিং ডিভাইস গুলোর দাম দিনে দিনে কমতেছে।
যদি আপনি কম দামে ভালো গেমিং মোবাইল কিনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাহলে আপনি আশা করি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে কম দামে ভালো গেমিং মোবাইল সম্পর্কে অবহিত হবেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।
কম দামে ভালো গেমিং মোবাইল ২০২১
যদি আপনি 10 থেকে 15 হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে একটি ভালো গেমিং মোবাইল খুঁজছেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার উপকারে আসবে।
কারন এই আর্টিকেলটিতে 10 থেকে 15 হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে ভালো গেমিং মোবাইল গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে
আরও পড়ুনঃ Symphony কম দামে ভালো মোবাইল।
এই 10 থেকে 15 হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে বর্তমানে ভালো প্রসেসর যুক্ত, শক্তিশালী ব্যাটারি সহ ও ফাস্ট চার্জিং সুবিধা সহ গেমিং মোবাইল পাওয়া যাচ্ছে।
আপনার বাজেটও যদি হয়ে থাকে 10 থেকে 15 হাজার টাকা। তাহলে এই বাজেটে পেয়ে যাবেন একটি দুর্দান্ত গেমিং মোবাইল।
কিভাবে একটি গেমিং মোবাইল চেনা যায়? | গেমিং মোবাইল চেনার উপায়।
একটি গেমিং মোবাইলের পারফর্মেন্স অবশ্যই ভালো হতে হবে। আর এই পারফরম্যান্স ভালো হওয়ার জন্য যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে মোবাইলের প্রসেসর।
মিডিয়াটেক গেমিং প্রসেসর হিসেবে পরিচিত হলেও মিডিয়াটেক প্রসেসর গেমিং এর ক্ষেত্রে গরম হয় বেশি। স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর গেমিং এর জন্য ভালো।
তবে 10 থেকে 15 হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে আপনাকে অবশ্যই মিডিয়াটেক প্রসেসর সমৃদ্ধ মোবাইল কিনতে হবে। কারণ এই বাজেটে ভালো স্ন্যাপড্রাগন গেমিং প্রসেসর পাওয়া যায় না।
প্রসেসরের পর যেই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে মোবাইলের ইন্টারনাল স্টোরেজ বা রম। মোবাইলের ইন্টারনাল স্টোরেজ যত বেশি হবে গেমিং এর ক্ষেত্রে তত সুবিধা হবে।
আরেকটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে মোবাইলের ব্যাটারি ক্যাপাসিটি। মোবাইলের ব্যাটারি ক্যাপাসিটি যত বেশি হবে ততবেশি গেমিং করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে মোবাইল চার্জ দেওয়ার জন্য ফাস্ট চার্জিং সুবিধা।
1.Realme Narzo 30a
এই মোবাইলটির 4 জিবি রেম ও 64 জিবি ইন্টার্নাল স্টোরেজ ভেরিয়েন্টের মূল্য 12 হাজার 990 টাকা।
এই মোবাইলটিতে অ্যান্ড্রয়েড 10 অপারেটিং সিস্টেমের সাথে ব্যবহৃত হয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও g85 গেমিং প্রসেসর ও সাথে রয়েছে 2.0 গিগাহার্জ অক্টাকোর সিপিইউ। এই প্রসেসরটির আনতুতু বেঞ্চমার্ক 194582. যার কারণে মোবাইলটি দিয়ে গেমিং করার ক্ষেত্রে পারফরম্যান্স পাওয়া যাবে স্মুথলি।
4 জিবি রেমের সাথে মোবাইলটিতে ব্যবহৃত হয়েছে 64 জিবি ইন্টার্নাল স্টোরেজ। ইন্টারনাল স্টোরেজ বেশী হওয়ার কারণে গেমপ্লের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুবিধা পাবেন। মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে স্টোরেজ আরও বাড়ানো যাবে।
এছাড়া মোবাইলটিতে ব্যাকআপ দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত 6000 হাজার এমএএইচ লি-পো ব্যাটারি। এই ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার জন্য রয়েছে 18 ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সুবিধা। গেমপ্লের ক্ষেত্রে মোবাইলটি দিয়ে একটানা 8-9 ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যাবে।
আইপিএস এলসিডি টাচস্ক্রিন প্রযুক্তির 720*1600 রেজুলেশনের 6.5 ইঞ্চি(270 পিপিআই) এচডি প্লাস ডিসপ্লে ব্যবহৃত হয়েছে মোবাইলটিতে। স্কিন টু বডি রেশিও 88.7%.
মোবাইলের পিছনে ক্যামেরা হিসেবে থাকছে দুটি ক্যামেরা। যার একটি 13 মেগাপিক্সেলের এবং অন্যটি 2 মেগাপিক্সেল।
Back Camera features:
- সুপার নাইটসকেপ, নাইট ফিল্টার্স, ক্রমা বুষ্ট, বিউটি, এইচডিআর, প্যানারোমা, প্রোট্রাইড, স্লোমো, টাইম ল্যাপস ই এবং এক্সপার্ট ইত্যাদি ফিচারস।
সামনের ক্যামেরা হিসেবে মোবাইলটিতে ব্যবহৃত হয়েছে 8 মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা।
সকল দিক বিবেচনা করে মোবাইলটিকে কম বাজেটে অসাধারণ একটি গেমিং মোবাইল হিসেবে ধরা যায়। 6000 এমএএইচ ব্যাটারি সহ মোবাইলটির ওজন 205 গ্রাম।
Realme Narzo 30a features:
- 6000 এমএএইচ ব্যাটারি। 18 ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সুবিধা।
- 6.5 ইঞ্চি ডিসপ্লে।
- মিডিয়াটেক হেলিও g85 গেমিং প্রসেসর।
- পিছনে 13+2 মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং সামনে 8 মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা।
- রম 4gb ও 64gb ইন্টার্নাল স্টোরেজ (রম)
2.Tecno spark 7 pro
এই মোবাইলটির 4 জিবি রেম ও 64 জিবি ইন্টার্নাল স্টোরেজ ভেরিয়েন্টের মূল্য 13 হাজার 490 টাকা এবং 6 জিবি রেম ও 64 জিবি ইন্টার্নাল স্টোরেজ ভেরিয়েন্টের মূল্য 14 হাজার 990 টাকা।
একটি ভেরিয়েন্টে 4 জিবি রেমের সাথে মোবাইলটিতে ব্যবহৃত হয়েছে 64 জিবি ইন্টার্নাল স্টোরেজ এবং অন্য ভেরিয়েন্টে 6 জিবি রেম ও 64 জিবি ইন্টার্নাল স্টোরেজ। ইন্টারনাল স্টোরেজ বেশী হওয়ার কারণে গেমপ্লের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুবিধা পাবেন। মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে স্টোরেজ বাড়ানো যাবে 256 জিবি পর্যন্ত।
এই মোবাইলটিতে অ্যান্ড্রয়েড 11 অপারেটিং সিস্টেমের সাথে ব্যবহৃত হয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও g80 গেমিং প্রসেসর ও সাথে রয়েছে 2.0 গিগাহার্জ অক্টাকোর সিপিইউ। এই প্রসেসরটির আনতুতু বেঞ্চমার্ক 200822. যার কারণে মোবাইলটি দিয়ে গেমিং করার ক্ষেত্রে পারফরম্যান্স পাওয়া যাবে স্মুথ।
5000 এমএএইচ লি-পো ব্যাটারি ব্যাকআপ দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। এই ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার জন্য রয়েছে 10 ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সুবিধা। একটানা 7-8 ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যাবে গেমপ্লের ক্ষেত্রে।
720*1600 রেজুলেশনের 6.6 ইঞ্চি(266 পিপিআই) এচডি প্লাস আইপিএস এলসিডি টাচস্ক্রিন প্রযুক্তির ডিসপ্লে ব্যবহৃত হয়েছে মোবাইলটিতে। স্কিন টু বডি রেশিও 83.7%.
মোবাইলের পিছনে ক্যামেরা হিসেবে থাকছে তিনটি ক্যামেরা। যার একটি 48 মেগাপিক্সেলের এবং অন্য দুইটি অজানা।
Back Camera features:
- এফ ডি এ এফ, কোয়াট এলইডি ফ্ল্যাশ, এইচডিআর, প্যানারোমা ইত্যাদি ফিচারস।
সামনের ক্যামেরা হিসেবে মোবাইলটিতে ব্যবহৃত হয়েছে 8 মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা।
সকল দিক বিবেচনা করে মোবাইলটিকে কম বাজেটে অসাধারণ একটি গেমিং মোবাইল হিসেবে ধরা যায়। 5000 এমএএইচ ব্যাটারি সহ মোবাইলটির ওজন 205 গ্রাম।
Tecno spark 7 pro features:
- 5000 এমএএইচ ব্যাটারি। 10 ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সুবিধা।
- 6.6 ইঞ্চি ডিসপ্লে।
- মিডিয়াটেক হেলিও g80 গেমিং প্রসেসর।
- পিছনে 48 মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং সামনে 8 মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা।
- রম 4gb ও 64gb ইন্টার্নাল স্টোরেজ (রম) এবং 6 জিবি রেম ও 64 জিবি ইন্টার্নাল স্টোরেজ।
3.Realme c25
এই মোবাইলটির 4 জিবি রেম ও 64 জিবি ইন্টার্নাল স্টোরেজ ভেরিয়েন্টের মূল্য 13 হাজার 490 টাকা এবং 4 জিবি রেম ও 128 জিবি ইন্টার্নাল স্টোরেজ ভেরিয়েন্টের মূল্য 14 হাজার 990 টাকা।
এই মোবাইলটিতে মিডিয়াটেক হেলিও g70 গেমিং প্রসেসর ও অ্যান্ড্রয়েড 10 অপারেটিং সিস্টেমের সাথে ব্যবহৃত হয়েছে। সাথে রয়েছে 2.0 গিগাহার্জ অক্টাকোর সিপিইউ। এই প্রসেসরটির আনতুতু বেঞ্চমার্ক 193472. যার কারণে মোবাইলটি দিয়ে গেমিং করার ক্ষেত্রে পারফরম্যান্স পাওয়া যাবে স্মুথলি।
এছাড়া মোবাইলটিতে ব্যাকআপ দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত 6000 হাজার এমএএইচ লি-পো ব্যাটারি। এই ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার জন্য রয়েছে 18 ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সুবিধা। গেমপ্লের ক্ষেত্রে মোবাইলটি দিয়ে একটানা 8-9 ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যাবে।
একটি ভেরিয়েন্টে 4 জিবি রেমের সাথে মোবাইলটিতে ব্যবহৃত হয়েছে 64 জিবি ইন্টার্নাল স্টোরেজ এবং অন্য ভেরিয়েন্টে 4 জিবি রেম ও 128 জিবি ইন্টার্নাল স্টোরেজ। ইন্টারনাল স্টোরেজ বেশী হওয়ার কারণে গেমপ্লের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুবিধা পাবেন। মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে স্টোরেজ আরও বাড়ানো যাবে।
720*1600 রেজুলেশনের 6.5 ইঞ্চি(270 পিপিআই) এচডি প্লাস আইপিএস এলসিডি টাচস্ক্রিন প্রযুক্তির হয়েছে মোবাইলটিতে। স্কিন টু বডি রেশিও 88.7%.
মোবাইলের পিছনে ক্যামেরা হিসেবে থাকছে তিনটি ক্যামেরা। যার একটি 48 মেগাপিক্সেলের এবং অন্য দুইটি 2 মেগাপিক্সেল।
Back Camera features:
- সুপার নাইটসকেপ, নাইট ফিল্টার্স, ক্রমা বুষ্ট, বিউটি, এইচডিআর, প্যানারোমা, প্রোট্রাইড, স্লোমো, টাইম ল্যাপস ই এবং এক্সপার্ট ইত্যাদি ফিচারস।
সামনের ক্যামেরা হিসেবে মোবাইলটিতে ব্যবহৃত হয়েছে 8 মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা।
সকল দিক বিবেচনা করে মোবাইলটিকে কম বাজেটে অসাধারণ একটি গেমিং মোবাইল হিসেবে ধরা যায়। 6000 এমএএইচ ব্যাটারি সহ মোবাইলটির ওজন 209 গ্রাম।
Realme c25 features:
- 6000 এমএএইচ ব্যাটারি। 18 ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সুবিধা।
- 6.5 ইঞ্চি ডিসপ্লে।
- মিডিয়াটেক হেলিও g70 গেমিং প্রসেসর।
- পিছনে 48+2+2 মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং সামনে 8 মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা।
- রম 4gb ও 64gb ইন্টার্নাল স্টোরেজ (রম) এবং 4 জিবি রেম ও 128 জিবি ইন্টার্নাল স্টোরেজ।
আমাদের শেষ কথা
যদি শুধু গেমিং এর জন্য মোবাইল কিনতে চান তাহলে Realme narzo 30a ডিভাইসটি নিতে পারেন।
তবে আপনি যদি আমি মোবাইলের সাথে ক্যামেরা ভালো চান তাহলে Realme c25 বা Tecno Spark 7 pro যেকোনো একটি ডিভাইস নিতে পারেন।
আশাকরি আর্টিকেলটি পড়ে কম দামে ভালো গেমিং মোবাইল গুলোর সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। একটি গেমিং মোবাইল কেনার পূর্বে অবশ্যই মোবাইলটির ডিসপ্লে, প্রসেসর ও ইন্টারনাল স্টোরেজ ইত্যাদি দেখে কিনবেন।