তাড়াতাড়ি বিয়ে করার উপকারিতা ও অপকারিতা

তাড়াতাড়ি বিয়ে করার উপকারিতাঃ সৃষ্টিগতভাবেই নারী পুরুষ একে অপরের পরিপূরক। নারী ছাড়া পুরুষ এবং পুরুষ ছাড়া নারীর জীবন অসম্পূর্ণ। কোনো সন্তানের যদি  স্ত্রীর ডাল-ভাত জোগাড় করার ক্ষমতা থাকে তাহলে সেই সন্তানকে চরিত্র হেফাজতের জন্য কোনো বিলম্ব না করে অভিভাবকের বিয়ে দেওয়াটা কর্তব্য।

তাড়াতাড়ি বিয়ে করার উপকারিতা

​আল্লাহ ওয়াদা করেছেন -যদি কোনো সন্তানকে উপযুক্ত হওয়ার পর বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় সেই সংসারে অভাব থাকলে আল্লাহ তা পূরণ করে দিবেন। তারাতাড়ি বিয়ে করলে জীবনে সফলতা আসবেই। বিয়ে করলে আল্লাহ নিয়ামত বাড়িয়ে দেন।

তারাতাড়ি বিয়ে করার উপকারিতা গুলো হলোঃ

অনেকে আছেন তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে চান। তাড়াতাড়ি বিয়ে করার আগে উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া জরুরি চলুন প্রথমে জেনে আসি উপকারীতা গুলো সম্পর্কেঃ

১, জেনা বেবিচার থেকে বিরত থাকা যায়। যুবক বয়সে আল্লাহর খুব প্রিয় হওয়া যায়। ইবাদতে স্বাদ পাওয়া যায়।

২, তারাতাড়ি বিয়ে করলে সম্পর্কটি বেশি গভীর ও মধুর হয়। তারাতাড়ি বিয়ে না করলে এমন হবে যে বিয়ে করা ফরজ ছিলো তাই বিয়ে করেছি । তাই আবেগ থাকতে তারাতাড়ি বিয়ে করা উচিত।

৩, তারাতাড়ি বিয়ে করলে সঙ্গির সাথে একান্ত সময় কাটানো যায়। যার ফলে সম্পর্ক ভালো ও মধুর হয়।

৪, তারাতাড়ি বিয়ে করলে স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই মিলে জীবনের সবটুকু ভাগাভাগি করা যায়।ফলে একজনের উপর মানসিক চাপ কম পরে।

৫, মানুষের গর আয়ু কমছে। তাই তারাতাড়ি বিয়ে করলে সন্তানের কাছে ভালো পিতা মাতা হয়ে উঠতে পারবেন।

৬, সৃষ্টিগত ও স্বভাবজাত যৌনচাহিদা পূরণের বৈধ ও নিরাপদ ব্যবস্থা বিয়ে। তাই তারাতাড়ি বিয়ে করা উচিত।

তারাতাড়ি বিয়ে করে যারা সফল হয়েছেনঃ

এতক্ষণ তাড়াতাড়ি বিয়ে করার উপকারিতা সম্পর্কে জানলেন এখন ভাবতে পারেন। তাড়াতাড়ি বিয়ে করে সফল হয়েছে এমন জনপ্রিয় কেউ আছে কিনা। আমরা বেশিরভাগ সময় উদাহরন দেখতে ভালোবাসি। তাই এইখানে যারা তাড়াতাড়ি বিয়ে করে সফল হয়েছে এমন লোকগুলোর তালিকা দিলামঃ

  • আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অল্প বয়সে বিয়ে করেছেন।তো ওনি কি সফল রাষ্ট্র নায়ক নন।ওনি তো স্বাধীনতার স্থপতি।
  • কাজী নজরুল ইসলাম অল্প বয়সে বিয়ে করেছেন।ওনি কি সফল কবি নন। 
  • মহাত্মা গান্ধী অল্প বয়সে বিয়ে করেছেন।সে
  • সেক্সপিয়র অল্প বয়সে বিয়ে করেছেন।

এরাতো তারাতাড়ি বিয়ে করেছে তারপরেও এদেরতো সফল হতে কোনো সমস্যা হয়নি।

বাংলাদেশে বিয়ে করা কঠিন। পরকীয়া করা সহজ। বর্তমানে মানুষ বিয়ে দিতে ও বিয়ে করতে ভয় পায়। কারণ অনেক টাকা খরচ হয় যা বলার বাহিরে। কিন্তু অল্প টাকায় পরকীয়া করা যায়। 

আপনার সন্তানকে তারাতাড়ি বিয়ে দিয়ে সন্তানকে  পাপমুক্ত রাখুন। আপনি ও আপনার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করুন।

তাড়াতাড়ি বিয়ে করার অপকারিতাঃ

এতক্ষণ আপনাদের তাড়াতাড়ি বিয়ে করার উপকারিতা নিয়ে লিখেছি কিন্তু তাড়াতাড়ি বিয়ে করার কিছু অপকারিতা রয়েছে সেটা সম্পর্কে আপনাদের আগে থেকেই ধারণা নেওয়া উচিত। তাড়াতাড়ি বিয়ে করার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সমস্যা সৃষ্টি হয় মেয়েদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি ছেলেদের ক্ষেত্রে কম হয়। তাড়াতাড়ি বিয়ে করার ক্ষেত্রে কিছু অপকারিতা নিচে তুলে ধরা হলোঃ

শিক্ষালাভের সংকোচনঃ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা যায় তাড়াতাড়ি বিয়ে হলে অনেক মেয়েদের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। বিয়ে করার পর অনেক মেয়ে পড়ালেখা করতে চায় কিন্তু তাদেরকে সেই সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হয়না। যদি আপনি মেয়ে হয়ে থাকেন এবং বিয়ে করার পর পড়ালেখা চালিয়ে যেতে চান তাহলে আপনার জন্য তাড়াতাড়ি বিয়ে করাটা খারাপ হবে। কারন অনেক ছেলে পরিবার ই আছে যারা বিয়ে করার পর মেয়েদেরকে পড়াতে চায় না।

আর্থিক অস্থায়ীতাঃ অল্প বয়সে বিয়ে করার ফলে আর্থিক অস্থায়ীতা পরিবারের জীবনে উঠে আসতে পারে। তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে গিয়ে অনেক সময় দেখা যায় ছেলের ক্যারিয়ার হওয়ার আগে বিয়ে দিতে হয়। সেক্ষেত্রে ছেলের ক্যারিয়ার না থাকায় বিয়ের পরে আর্থিক সংকটে পরে পরিবারে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। এই সমস্যাটির কারনে খুব তাড়াতাড়ি ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ছেলেদের ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি বিয়ে করার জন্য অবশ্যই ক্যারিয়ার বা ইনকাম সোর্স সৃষ্টি করতে হবে।

আমাদের শেষ কথা

এই আর্টিকেলে তারাতাড়ি বিয়ে করার উপকারিতা ও অপকারিতা সর্ম্পকে সব তথ্য তুলে ধরার চেস্টা করেছি। যদি আপনি তাড়াতাড়ি বিয়ে করার জন্য আগ্রহী হন তাহলে আশাকরি আপনার জন্য এই আর্টিকেলটি উপকারে এসেছে। আর্টিকেলটি সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে কমেন্টে জানান। ধন্যবাদ ♥️

Please Share this On:

Next Post Previous Post
1 Comments
  • Sharif ahmed
    Sharif ahmed 7 Jun 2023, 06:12:00

    সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ 👌

Add Comment
comment url