এক তরফা ভালোবাসা থেকে মুক্তির উপায় দশটি

এক তরফা ভালোবাসা থেকে মুক্তির উপায়ঃ এক তরফা ভালোবাসা যাকে আমরা ইংরেজিতে বলি one sided love. এক তরফা ভালোবাসা, এটা এমন একটা অনুভুতি যা যেকোনো কাউকে কখনো বুঝানো যায় না। এটা অনুভব করতে হয়। এই ভালোবাসায় মানুষগুলো নিজেরাই তাদের প্রিয় মানুষগুলোর উপর অভিমান করে, আবার নিজেরাই নিজেদের অভিমান ভাঙ্গায়, কারণ ভালোবাসাটা একতরফা।

একতরফা ভালোবাসা গুলো এমনই হয় একজন পাগলের মতো ভালোবেসে যায় আর একজন পাগল বলে ভেবে কষ্ট দিয়ে দেয়। বেশিরভাগ সময় ভুল মানুষের প্রেমেই পড়ে আমাদের মন। বিচ্ছেদের চাইতেও যন্ত্রণাদায়ক একতরফা প্রেম। প্রেম ভাঙার চেয়েও খারাপ কিছু যদি থাকে তাহলে তা হলো এক তরফা ভালোবাসা। এক তরফা ভালোবাসা খুবই যন্ত্রনাদায়ক।


এই এক তরফা ভালোবাসা একটি ছেলের সাথেও হতে পারে আবার একটা মেয়ের সাথেও হতে পারে। একতরফা ভালোবাসায় কেউ বুঝতে পারে না যে কতটুকু ভালোবাসে। আবার কেউ তো বুঝে ও  না বুঝার ভান করে । তাদের কাছে ভালোবাসাটা মূল্যহীন। খুব কষ্ট হয় তখন যখন আমরা কাউকে ভালোবাসি আর তার কাছে আমাদের কোন মূল্যই থাকে না। মন ভেঙ্গে যায় তাদের যারা একতরফা ভালোবাসে।

আমাদের লাইফে কোন পদক্ষেপ নেওয়ার আগে চিন্তা করে নিতে হবে । বাস্তবতার সাথে মিল রেখে কোন কাজ করতে হবে। কারণ বাস্তবতা অনেক কঠিন । একতরফা ভালোবাসায় বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ মেয়েদের মন ভালো করার উপায় নিয়ে জানুন 

এক তরফা ভালোবাসাটা এখন অনেক বেশি। আমি ওকে ভালোবেসেছি ও অন্যজনকে ভালোবাসে, সে হয়তো আবার অন্য কাউকে ভালোবাসে এভাবেই চলছে। এখানে আমার ভালোবাসাটা একতরফা, ঐখানে ওর ভালোবাসাটা একতরফা।

এক তরফা ভালোবাসা থেকে মুক্তির উপায়

অপর দিক থেকে কোন ভালোবাসা পাবে না যেন নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসে যাওয়ার নামই হলো এক তরফা ভালোবাসা। এক তরফা ভালোবাসার এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তির কয়েকটি উপায় হলঃ

১, বাস্তবতাকে মেনে নেওয়া। একতরফা ভালোবাসার এই কঠিন যন্ত্রণা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হল বাস্তবতাকে মেনে নেওয়া।

২, সময়ের উপর ছেড়ে দেওয়া। যেটা হয়ে গেছে তো গেছেই। যেটা হচ্ছে আর যেটা হবে সবকিছু সময়ের উপর  ছেড়ে দেন।

৩, নিজের পছন্দের কাজ গুলো বেশি বেশি করবেন। আপনার পছন্দের কাজগুলোতে বেশি মনোযোগ দিবেন। যেগুলো করলে আপনার অনেক ভালো লাগে।

৪, যেটা দেখলে বা করলে তার কথা মনে পড়ে সেটা দেখবেন না সেটা করবেন না। এমন কিছু করেন যাতে একটু ভালো লাগে।

৫, কষ্টের কান্না না শুনে হাসির বা শিক্ষামূলক কোন ভিডিও বা সিনেমা দেখবেন। দুঃখের বা রোমান্টিক কোনো ভিডিও,গানও সিনেমা থেকে দূরে থাকুন।

৬,নিজেকে বলবেন আমি যা করছি ঠিক করছি। এটাই করা উচিত আমার।

৭, এটা ভাবুন যে প্রত্যেক মানুষের রুচি, চাহিদা একরকম না ভিন্ন ভিন্ন। আমি যাকে পছন্দ করি সে আমাকে পছন্দ নাই করতে পারে।এটাই স্বাভাবিক।

আরও পড়ুনঃ Romantic ভালোবাসার মানুষকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা 

৮, বন্ধুদের সঙ্গে বেশি বেশি সময় কাটান, আড্ডা দেন। কোথাও ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। মনটা হালকা হয়ে যাবে।

৯, বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যেতে না পারলে একা একাই বেরিয়ে পড়ুন। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখুন। হ্যাঁ এটা ঠিক যে আপনি একেবারেই নিজেকে পরিবর্তন করতে পারবেন না। তাই ধীরে ধীরে নিজেকে পরিবর্তন করুন।

এক তরফা ভালোবাসার সব সময়ই ভালো হয় কারণ এতে কখনো ব্রেকআপ হয় না। ভালোবাসার মধ্যে কিন্তু একটা অদ্ভুত মায়া আছে কষ্ট পেলেও ছাড়া যায় না আবার মন ভেঙে গেল ঘৃণা করা যায় না। তাই বলে যে আমাদের তাকে নিয়ে পড়ে থাকতে হবে নাকি। যে আমাদের অনুভূতি নিয়ে খেলা করে। আমাদের ভালবাসার কোন মূল্যই নেই তার কাছে । আমরা তাকে নিয়ে পড়ে থাকি আর সে অন্য কিছু করে অন্য ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তাহলে কেন আমরা অযথা সময় নষ্ট করবো। ভালবাসার কোন সীমা নেই। তাই বারবার হতে পারে। তাই নিয়ে মন খারাপ না করে নিজেকে কষ্ট না দিয়ে এগিয়ে যান । জীবনে সফলতা অর্জন করুন

Please Share this On:

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url