সেরা ০৫ ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps - Itblogbd

সেরা ০৫ ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps

ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps

মোবাইল দিয়ে ছবি তুলতে সবাই পছন্দ করে। সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্যান্য যেকোন জায়গায় নিজের ছবিকে ভালো ভাবে উপস্থাপন করার জন্য বা দৃষ্টিনন্দন করার জন্য ছবি ভালোভাবে এডিট করতে হয়। এর জন্য প্রয়োজন হয় ভালো ফটো এডিটিং সফটওয়্যার।

অনেক সময় ছবি তোলার পর পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো দেখায় না। তখন পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ বা ভালো দেখানোর জন্য এডিট করতে হয়। আর এই এডিট করার জন্য প্রয়োজন হয় ছবি সুন্দর করার সফটওয়্যার।‌‌ তাছাড়া ছবিটিতে টেক্সট বা নতুন কোন কিছু যুক্ত করার জন্যও ছবি এডিটিং সফটওয়্যার এর প্রয়োজন পরে।

অনেক লো রেজুলেশনের ছবিকে এডিটিং এর মাধ্যমে হাই রেজুলেশন ছবিতে রূপান্তর করা সম্ভব। ছবি ক্রোপ, কালার চেন্জ, একটি ছবির উপরে নতুন আরেকটি ছবি যুক্ত করার জন্য প্রয়োজন পড়ে ছবি এডিটিং সফটওয়্যার ডাউনলোড করার। 

অনেকেই মনে করেন মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট প্রফেশনাল ভাবে করা যায় না। কিন্তু আপনি যদি মোবাইলের জন্য থাকা ফটো এডিটিং সফটওয়্যার গুলোর ব্যবহার সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনি মোবাইল দিয়েও  পিকচার এডিট করতে পারবেন।

সবচেয়ে ভালো ফটো এডিটিং সফটওয়্যার ডাউনলোড।

ছবি পরিষ্কার করার সফটওয়ার গুলোর মাধ্যমে আমরা মোবাইল দিয়ে তোলা ছবিকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে ফেলতে পারি। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা কিভাবে ফটো এডিট করতে হয়? জানেন না। কিভাবে ফটো এডিট করতে হয় এটা জানার জন্য প্রথমে জানতে হবে ফটো এডিট করার ভালো এপ্স কোনটি?

যদি আপনি ছবি এডিট করার সফটওয়্যার গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। তাহলে খুব সহজেই ফটো এডিট করতে পারবেন। মোবাইলের জন্য ছবি কাজ করার সফটওয়্যার রয়েছে অনেকগুলো। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফটো এডিটিং সফটওয়্যার গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

1.Snapseed

স্নাপসিড ছবি এডিট করার সফটওয়্যার
মোবাইলের জন্য থাকা ফটো এডিটিং সফটওয়্যার গুলোর মধ্য Snapseed খুবই জনপ্রিয় এবং ভালো একটি ছবি এডিটি করার সফটওয়্যার। এই ফটো এডিট করার ভালো এপ্সটি তৈরি করেছেন গুগোল কোম্পানি।

প্লে-স্টোরে 2012 সালে আপলোড হওয়া এই ছবি এডিটিং সফটওয়্যারটি 4.4 রেটিং এর সাথে বর্তমানে ডাউনলোড সংখ্যা 100 মিলিয়ন প্লাস‌।


এই সফটওয়্যারটির বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি একটি ফটো এডিট করার সময় যেই ফিল্টার বা টুলস গুলো ব্যবহার করবেন সেই ফিল্টার এবং টুলস ব্যবহার করার পর ছবিটি যে এরকম দেখাবে। সেই থিমটি সেভ করে রাখতে পারবেন। আপনি চাইলে পরবর্তীতে সেই ফিল্টার এবং টুলসগুলো এক ক্লিকেই নতুন আরেকটি ছবিতে এপ্লাই করতে পারবেন।

Snapseed software features:

  • Tune image
  • Details
  • Curves
  • White balance
  • Crop
  • Brush
  • Vintage
  • Vignette
  • Black and white
Tune image: স্ন্যাপসিড ফটো এডিটিং সফটওয়্যার এর টিউন ইমেজ অপশনটির মাধ্যমে ছবির ব্রাইটনেস, স্যাচুরেশন, কনট্রাষ্ট, ওয়ার্ম, আম্বিয়েন্স, হাইলাইটস ও শ্যাডোস ইত্যাদি কমাতে বাড়াতে পারবেন। অর্থাৎ এই অপশনটির মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ছবির আলো কমিয়ে বা বাড়িয়ে অথবা ছবির উজ্জ্বলতা কমিয়ে বা বাড়িয়ে ছবি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পারবেন।

Details: এই অপশনটি কাজ হচ্ছে মূলত একটি সাধারণ ছবির ডিটেলস বাড়িয়ে হাই কোয়ালিটি একটি ছবিটি রূপান্তরিত করা। এই অপশনটির মাধ্যমে ঘোলা বা সার্ফনেস যুক্ত ছবিকে পরিষ্কার করা। অর্থাৎ ছবি পরিষ্কার করার সফটওয়ার হিসাবে এই স্ন্যাপসিড সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন।

Curves: আপনার যদি কোন ছবি কালার পছন্দ না হয় তাহলে এই অপশনটির মাধ্যমে ছবির কালার পরিবর্তন করে অন্য কালারে রূপান্তরিত করতে পারবেন। আপনি ছবির কালার পরিবর্তন করে লাল-নীল-সবুজ এই তিনটে কালারে রূপান্তর করতে পারবেন।

White balance: এই অপশনটির মাধ্যমে ছবি তাপমাত্রা কমাতে বা বাড়াতে পারবেন। এই অপশনটির মাধ্যমে তাপমাত্রা কমলে ছবিতে নিল নিল দেখাবে। আর তাপমাত্রা বাড়ালে ছবিতে সূর্যের আলো পড়ার মতো লাল দেখাবে।

Crop: স্ন্যাপসিড ফটো এডিটিং সফটওয়্যার এর ক্রোপ অপশনটির মাধ্যমে ফটোর যেকোনো অংশ খুব সহজেই কেটে ফেলতে পারবেন। তাছাড়া আপনার পরিমাপ মত ছবিকে 3:2 বা 2:1 এরকম আকারে ক্রোপ করতে পারবেন।

Brush: এই ফিচারসটি স্ন্যাপসিড সফট্ওয়ারের খুবই ভালো একটি ফিচারস। এই ফিচারটির মাধ্যমে আপনি ছবির যে কোন অংশের ব্রাইটনেস, স্যাচুরেশন, টেম্পারেচার ইত্যাদি কমাতে বা বাড়াতে পারবেন। একটি ছবি কি সুন্দর ভাবে এডিট করার ক্ষেত্রে এই ব্রাশ অপশনটি খুবই কাজে লাগবে।

Vintage: এই ফিচারটিতে অনেকগুলো কালারের ভিনটেক রয়েছে। এই ভেন্টিক গুলো ব্যবহারের ফলে ছবির উপরে নতুন কালার যুক্ত হবে যার ফলে ছবিটি দেখতে আগের চেয়ে ভালো দেখা যাবে।

Vignette: এই ফিচারটির মাধ্যমে ছবির ইনার ব্রাইটনেস এবং আউটডোর ব্রাইটনেস কমাতে এবং বাড়াতে পারবেন। ইনার ব্রাইটনেস বাড়ালে বা কমালে ছবির মাঝখানের অংশে আলো কমবে এবং বাড়বে। আর আউডডোর ব্রাইটনেস বাড়ালে বা কমালে ছবির মাঝখানে অংশ আগের মতই থাকবে কিন্তু পাশের অংশের আলো কমবে এবং বাড়বে।

Black and white: একটা রঙ্গিন ছবিকে সাদাকালো ছবিতে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে এই ফিচারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

উপরে আলোচনা করা ফিচারগুলো ছাড়াও স্নাপসিড অ্যাপে আরও গুরুত্বপূর্ণ অনেক ফিচারস রয়েছে। স্নাপসিড ছবি এডিট করার অ্যাপটি ডাউনলোড করলেই বুঝতে পারবেন।
নাম Snapseed
ডেভেলপার ‌Google
‌সাইজ 22.94 এমবি
ডাউনলোড সংখ্যা ‌100,000,000+
ভার্সন 2.19.1

2.Picsart  | ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps

পিকসআর্ট ফটো এডিটিং সফটওয়্যার
ছবি এডিট করার সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যার হচ্ছে পিক্স আর্ট। অনেক ফিচারস ও এডিট করতে সহজলভ্য বলে সবাই এই অ্যাপসটি পছন্দ করে থাকে।

প্লে-স্টোরে 2011 সালে আপলোড হওয়া এই ছবি এডিটিং সফটওয়্যারটি 4.2 রেটিং এর সাথে বর্তমানে ডাউনলোড সংখ্যা 500 মিলিয়ন প্লাস‌। সফটওয়্যারটির সাইজ মাত্র 43 এমবি। 

পিক্সআর্ট সফটওয়্যারটির দুটি ভার্সন রয়েছে একটা হচ্ছে ফ্রি ভার্সন এবং আরেকটি প্রিমিয়াম ভার্শন। ফ্রী ভার্শনে ছবি ইডিট করার ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই ছবিতে অসাধারণ লুক দেওয়ার ক্ষেত্রে এই সফট্ওয়্যারের প্রিমিয়াম ভার্শন কিনে নিতে পারেন।

PicsArt software features:

  • Swap background
  • Filters
  • Collage
  • Drawing
  • Crop
  • Double exposure
  • Remove object
  • Blur background
  • Sticker
Swap background: এই সফটওয়্যারটির Swap background ফিচারস এর মাধ্যমে আপনি যেকোনো ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে নতুন ব্যাকগ্রাউন্ড যুক্ত করতে পারবেন। অ্যাপসটির ফ্রি ভার্সনে অল্প ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে তবে প্রিমিয়াম ভার্সনে ব্যাকগ্রাউন্ড সংখ্যা অনেক।

অনেক সময় আমরা ছবি তোলার পর সেই ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো দেখায় না। সে ক্ষেত্রে ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করে নতুন ব্যাকগ্রাউন্ড যুক্ত করার ক্ষেত্রে এই ফিচারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।


Filters: ছবিতে নতুন এবং সুন্দর লুক আনার জন্য এই ফিচারটি ব্যবহার করতে পারেন। পিক্স আর্ট সফটওয়ারটিতে অনেকগুলো ফিল্টার্স রয়েছে যেগুলো এক ক্লিকে আপনার ছবিতে ব্যবহার করতে পারবেন।

এই ফিল্টার গুলো ব্যবহার করার জন্য আপনাকে মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। অনেকেই আছেন যারা অনেক সময় ব্যয় করে ছবি এডিট করতে চান না। তারা মাত্র একটি ক্লিকেই ফিল্টার্স ব্যবহার করে ছবিতে সুন্দর করে ফেলতে পারেন।

Collage: অনেকগুলো ছবিকে অনেক সময় একসাথে একটি ফ্রেমে যুক্ত করার প্রয়োজন পড়ে। সেক্ষেত্রে পিক্সআর্ট সফটওয়্যারের ক্লোজ ফিচারটির মাধ্যমে অনেকগুলো ছবি একসাথে যুক্ত করতে পারবেন।

Drawing: পিকসার্ট সফটওয়ারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচারস হচ্ছে ড্রয়িং। আপনি আপনার ছবিতে নতুন কিছু অংকন বা যুক্ত করার ক্ষেত্রে ড্রয়িং অপশনটি ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া ছবি কোন একটি নির্দিষ্ট অংশ এডিট করার ক্ষেত্রে এই ড্রয়িং ফিচার ব্যবহার হয়ে থাকে।

Crop: পিক্সআর্ট ছবি এডিট করার সফটওয়্যার এর ক্রোপ অপশনটির মাধ্যমে ফটোর যেকোনো অংশ খুব সহজেই কেটে ফেলতে পারবেন। তাছাড়া আপনার পরিমাপ মত ছবিকে 3:2 বা 2:1 এরকম আকারে ক্রোপ করতে পারবেন।

Double exposure: একটি ছবির কিছু অংশ বাদ দিয়ে ঐ অংশে নতুন অন্য একটি ছবি যুক্ত করার জন্য এই Double exposure ফিচারটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ফিচারটি ব্যবহার করে ছবিতে দুর্দান্ত একটি লুক দেওয়া সম্ভব।

Remove object: ছবি থেকে নির্দিষ্ট কোন একটা কিছু রিমুভ করার ক্ষেত্রে এই ফিচারটি ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় ছবি তোলার পর ছবির মধ্যে অপ্রত্যাশিত কিছু চলে আসে সেগুলো রিমুভ করলে ছবিটি দেখতে ভাল দেখা যায়। সেই সব জিনিস ছবি থেকে মুছে ফেলার জন্য এই ফিচারটি ব্যবহার করা হয়।

Blur background: ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করে দিলে ছবি দেখতে ভালো দেখায়। পিক্সআর্ট সফটওয়্যার দিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করার ক্ষেত্রে খুবই নিখুঁত হয় কারণ এই সফটওয়্যারে এ-আই পাওয়ার টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে।

Sticker: অনেকে সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্যান্য প্লাটফর্মে স্টিকারযুক্ত করে ছবি দিয়ে থাকেন। যারা স্টিকারযুক্ত করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এই ফিচারটি খুবই ভালো হবে। ফ্রী ভার্সন এর সকল স্টিকার খুঁজে না পেলেও প্রিমিয়াম ভার্শন এর সকল স্টিকার পাওয়া যায়।

উপরে আলোচনা করা ফিচারগুলো ছাড়াও পিক্সআর্ট অ্যাপে আরও গুরুত্বপূর্ণ অনেক ফিচারস রয়েছে। পিক্সআর্ট ছবি এডিট করার অ্যাপটি ডাউনলোড করলেই বুঝতে পারবেন।
নাম PicsArt
ডেভেলপার ‌picsart inc
‌সাইজ 41.34 এমবি
ডাউনলোড সংখ্যা ‌500,000,000+
ভার্সন 18.1.2

3.Lightroom

অনেক টুলস সহ জনপ্রিয় একটি ফটো এডিটিং সফটওয়্যার হচ্ছে লাইটরুম। প্লে-স্টোরে এই  সফটওয়্যারটি আপলোড হয়েছে 2016 সালে। 4.2 রেটিং এর সাথে বর্তমানে আপডেট ডাউনলোড সংখ্যা 100 মিলিয়ন প্লাস।

সফটওয়ারটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ফিচারস হচ্ছে প্রিসেট ফিচার। এটার মাধ্যমে মাত্র এক ক্লিকেই আপনি আপনার ছবিতে নতুন লুক দিতে পারবেন। ইন্টারনেটে লাইটরুম সফটওয়্যারে ব্যবহারের জন্য হাজার হাজার প্রিসেট রয়েছে।

Lightroom software features:

  • Crop
  • Colors
  • Exposure
  • Presets
  • Noise
  • Remove object
  • White balance
Crop: লাইটরুম ছবি এডিট করার সফটওয়্যার এর ক্রোপ অপশনটির মাধ্যমে ফটোর যেকোনো অংশ খুব সহজেই কেটে ফেলতে পারবেন। তাছাড়া আপনার পরিমাপ মত ছবিকে 3:2 বা 2:1 এরকম আকারে ক্রোপ করতে পারবেন।

Colors: ‌‌ছবিতে কালার মিক্সিং করে সুন্দর ইডিট করার জন্য কালার ফিচারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লাইটরুম সফট্ওয়ারে কালার অপশনটির মাধ্যমে সেচুরেশন, ভাইব্রান্চ ইত্যাদি কমানো বাড়ানো যায়। ছবিতে নতুন লুক দেওয়ার ক্ষেত্রে এই অপশনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Exposure: ছবিতে এক্সপোসিউর বাড়ানোর মাধ্যমে ছবির আলো বাড়াতে পারবেন। হাইলাইট ও হোয়াইট অপশন কমানোর মাধ্যমে ছবির ডিটেইলস বৃদ্ধি করতে পারবেন। একটি ছবি ডিটেইলস আরো বৃদ্ধি করার জন্য শ্যাডো এবং ব্রাইটনেস বৃদ্ধি করতে হবে। ছবির কালার আকর্ষণীয় করার ক্ষেত্রে কনট্রাস্ট অপশন থেকে কনট্রাস্ট বাড়িয়ে নিতে হবে।


Presets: যদি আপনি ছবি ইডিট করার ক্ষেত্রে অনভিজ্ঞ হন তাহলে আপনি সুন্দর ছবি এডিট করতে পারবেন এই প্রিসেট অপশনের মাধ্যমে। ইন্টারনেটে যারা ছবির করতে অভিজ্ঞ তারা ছবি এডিট করে সেই ছবির টেমপ্লেট বা প্রিসেট ইন্টারনেটে আপলোড করে রাখে আপনি সেগুলো ডাউনলোড করে আপনার ছবিতে এক ক্লিকেই ব্যবহার করতে পারবেন।

Noise: অনেক সময় ক্যামেরা ভালো না থাকার জন্য ছবি তোলার পর ছবিতে অনেক ঘোলা ঘোলা ভাব দেখা যায়। সেই ঘোলা ফোলা ভাব দূর করার ক্ষেত্রে এই নয়েজ অপশনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া অনেক সময় ছবি জুম করার প্রয়োজন পরে। ছবি জুম করার পর ছবিতে অনেক নয়েজ দেখা যায়।  এই নয় যে দূর করার জন্য লাইটরুম সফট্ওয়ারের এই ফিচারটি ভালো ভূমিকা রাখে।

Remove object: ছবি থেকে নির্দিষ্ট কোন একটা কিছু রিমুভ করার ক্ষেত্রে এই ফিচারটি ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় ছবি তোলার পর ছবির মধ্যে অপ্রত্যাশিত কিছু চলে আসে সেগুলো রিমুভ করলে ছবিটি দেখতে ভাল দেখা যায়। সেই সব জিনিস ছবি থেকে মুছে ফেলার জন্য এই ফিচারটি ব্যবহার করা হয়।

White balance: এই অপশনটির মাধ্যমে ছবি তাপমাত্রা কমাতে বা বাড়াতে পারবেন। এই অপশনটির মাধ্যমে তাপমাত্রা কমলে ছবিতে নিল নিল দেখাবে। আর তাপমাত্রা বাড়ালে ছবিতে সূর্যের আলো পড়ার মতো লাল দেখাবে।

উপরে আলোচনা করা ফিচারগুলো ।নছাড়াও লাইটরুম অ্যাপে আরও গুরুত্বপূর্ণ অনেক ফিচারস রয়েছে। লাইটরুম ছবি এডিট করার অ্যাপটি ডাউনলোড করলেই বুঝতে পারবেন।
নাম Lightroom
ডেভেলপার ‌adobe
‌সাইজ 88.87 এমবি
ডাউনলোড সংখ্যা ‌100,000,000+
ভার্সন 6.4.0

4.Lumii


2018 সালে প্লে-স্টোরে আপলোড হওয়া ইনশট কোম্পানির তৈরি করা ফটো এডিটিং সফটওয়্যারটি 4.2 রেটিং এর সাথে বর্তমানে ডাউনলোড সংখ্যা প্রায় 10 মিলিয়ন প্লাস।

খুব সহজে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে নতুন ব্যাকগ্রাউন্ড যুক্ত করা যায় বলে অনেকের কাছে এই সফটওয়্যারটি খুবই প্রিয় একটি সফটওয়্যার।

Lumii software features:

  • Background eraser
  • HSL Color Mode
  • Photo Filters
  • Photo Effects
  • Rotate and Crop
  • Add text
Background eraser: এই সফটওয়্যারটির background eraser ফিচারস এর মাধ্যমে আপনি যেকোনো ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে নতুন ব্যাকগ্রাউন্ড যুক্ত করতে পারবেন। অনেক সময় ছবি তোলার পর ছবির পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো দেখায় না‌। সেক্ষেত্রে সেই ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করে নতুন ব্যাকগ্রাউন্ড যুক্ত করতে পারবেন।

HSL Color Mode: হিউ, সেচুরেশন, ব্রাইটনেস ইত্যাদি কমানো বাড়ানো যাবে এই অপশনটির মাধ্যমে। হিউ কমালে বা বাড়লে একটি ছবির সম্পন্ন কালার চেঞ্জ করে নতুন একটি ছবিতে পরিণত করতে পারবেন।

Filters: ছবিতে নতুন এবং সুন্দর লুক আনার জন্য এই ফিচারটি ব্যবহার করতে পারেন। লুমি সফটওয়ারটিতে অনেকগুলো ফিল্টার্স রয়েছে যেগুলো এক ক্লিকে আপনার ছবিতে ব্যবহার করতে পারবেন।

Photo Effects: ছবিতে ইফেক্ট ব্যবহার করলে ছবি আগের চেয়ে অনেক সুন্দর ছবিতে পরিণত হয়। লুমি সফটওয়ারটিতে অনেকগুলো ফটো ইফেক্ট রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে আপনার ছবি ভিন্নধর্মী নতুন সুন্দর ছবিতে পরিণত হবে।

Rotate and crop: অনেক সময় একটি ছবি উপর-নিচ বা ডানে বামে গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে সে ক্ষেত্রে আপনি Rotate অপশনের মাধ্যমে ছবিটিকে ডানে-বামে উপরে যেকোন দিকে ঘুরাতে পারবেন। লুমি ছবি এডিট করার সফটওয়্যার এর ক্রোপ অপশনটির মাধ্যমে ফটোর যেকোনো অংশ খুব সহজেই কেটে ফেলতে পারবেন। তাছাড়া আপনার পরিমাপ মত ছবিকে 3:2 বা 2:1 এরকম আকারে ক্রোপ করতে পারবেন।

Add text: এই অপশনটির মাধ্যমে ছবিতে লেখা যুক্ত করতে পারবেন। এবং সেই লেখাতে আপনি আপনার পছন্দনীয় ফন্টও যুক্ত করতে পারবেন। অনেক সময় ছবিতে লেখা যুক্ত করার প্রয়োজন পড়ে সেই ক্ষেত্রে এই অপশনটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

উপরে আলোচনা করা ফিচারগুলো ছাড়াও লুমি অ্যাপে আরও গুরুত্বপূর্ণ অনেক ফিচারস রয়েছে। লুমি ছবি এডিট করার অ্যাপটি ডাউনলোড করলেই বুঝতে পারবেন।
নাম Lumii
ডেভেলপার ‌Inshot
‌সাইজ 29 এমবি
ডাউনলোড সংখ্যা ‌10,000,000+
ভার্সন 1.430.86

5.Pixlr

2012 সালে প্লে-স্টোরে আপলোড হওয়া ইনমাজিন কোম্পানির তৈরি করা ফটো এডিটিং সফটওয়্যারটি 4.2 রেটিং এর সাথে বর্তমানে ডাউনলোড সংখ্যা প্রায় 50 মিলিয়ন প্লাস।

Pixlr software features:

  • Collage
  • Double exposure
  • Effect
  • Add text
  • Sticker
Collage: অনেকগুলো ছবিকে অনেক সময় একসাথে একটি ফ্রেমে যুক্ত করার প্রয়োজন পড়ে। সেক্ষেত্রে পিক্সআর্ট সফটওয়্যারের ক্লোজ ফিচারটির মাধ্যমে অনেকগুলো ছবি একসাথে যুক্ত করতে পারবেন।

Double exposure: একটি ছবির কিছু অংশ বাদ দিয়ে ঐ অংশে নতুন অন্য একটি ছবি যুক্ত করার জন্য এই Double exposure ফিচারটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ফিচারটি ব্যবহার করে ছবিতে দুর্দান্ত একটি লুক দেওয়া সম্ভব।

Effect: ছবিতে ইফেক্ট ব্যবহার করলে ছবি আগের চেয়ে অনেক সুন্দর ছবিতে পরিণত হয়। পিক্সলার সফটওয়ারটিতে অনেকগুলো ফটো ইফেক্ট রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে আপনার ছবি ভিন্নধর্মী নতুন সুন্দর ছবিতে পরিণত হবে।

Add text: এই অপশনটির মাধ্যমে ছবিতে লেখা যুক্ত করতে পারবেন। এবং সেই লেখাতে আপনি আপনার পছন্দনীয় ফন্টও যুক্ত করতে পারবেন। অনেক সময় ছবিতে লেখা যুক্ত করার প্রয়োজন পড়ে সেই ক্ষেত্রে এই অপশনটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

Sticker: অনেকে সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্যান্য প্লাটফর্মে স্টিকারযুক্ত করে ছবি দিয়ে থাকেন। যারা স্টিকারযুক্ত করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এই ফিচারটি খুবই ভালো হবে। ফ্রী ভার্সন এর সকল স্টিকার খুঁজে না পেলেও প্রিমিয়াম ভার্শন এর সকল স্টিকার পাওয়া যায়।
নাম Pixlr
ডেভেলপার ‌inmagine
‌সাইজ 28.17 এমবি
ডাউনলোড সংখ্যা ‌50,000,000+
ভার্সন 3.4.62

 শেষ কথা

আশা করি আজকে আলোচনা করা সবচেয়ে ভালো ফটো এডিটিং সফটওয়্যার আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভাল লেগেছে।

আমি আর্টিকেলটিতে ছবি এডিট করার সফটওয়্যার গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত সম্পূর্ণরূপে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি এছাড়া সফটওয়্যারগুলোর ডাউনলোড লিঙ্ক দিয়ে দিয়েছি যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

আর্টিকেলটি সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিতে পারেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন।

Please Share this On:

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url