ফজরের নামাজের সময় ঢাকা ২০২২ - Itblogbd

ফজরের নামাজের সময় ঢাকা ২০২২

ফজরের নামাজের সময় ঢাকা ২০২২ঃ নামাজের সময়সূচী জানাটা নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি নামাজ গুলো সঠিক সময়ে পড়তে চান তাহলে নামাজের সময়সূচী জেনে নেওয়া আপনার জন্য খুবই জরুরি।

এই আর্টিকেলে ফজরের নামাজের সময় ঢাকা ২০২২ সম্পর্কে জানতে পারবেন। আমারা সবাই জানি ফজর নামাজ সুর্য উদয় হওয়ার আগে আদায় করতে হয়। তাই ফজর নামাজের সময়সূচী জানাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সূর্য উদয় হওয়ার সময় নামাজ পড়া হারাম তাই যদি আপনি ফজর নামাজের সঠিক সময় না জানেন তাহলে আপনার নামাজ আদায় করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।


এজন্য সঠিক সময়ে ফজরের নামাজ আদায় করার জন্য আপনাকে আগেই ফজরের নামাজের সময়সূচী জেনে নিতে হবে। এখানে ঢাকার জন্য নির্ধারিত ফজর নামাজের সময়সূচী দেয়া হয়েছে। আপনি যদি ঢাকায় বসবাস করে থাকেন তাহলে এই সময়গুলো অনুসারে তাকে ফজর নামাজ আদায় করতে পারেন।

ফজরের নামাজের সময় ঢাকা ২০২২

আজকের ফজরের নামাজের সময় ঢাকা ওয়াক্ত শুরু ৪:৪৯ মিনিট থেকে এবং সূর্য উদয়ের সময় ৬.০৪ মিনিট অর্থাৎ ফজর নামাজের শেষ সময় হচ্ছে ৬.০৪ পর্যন্ত।

আজকের ফজরের নামাজের শেষ সময়

আজকে ঢাকার ফজরের নামাজের শেষ সময় হচ্ছে ৬.০৪ মিনিট অর্থাৎ সুর্য উদয়ের সময় হচ্ছে ৬.০৪ এবং এটাই হচ্ছে ফজরের নামাজের শেষ সময়

উপরে শুধু আজকের ফজর নামাজের সময়সূচী দেয়া আছে। এই মাসের আরও দশদিনের ফজর নামাজের সময় জানতে পারবেন নিচের ছবিটার মাধ্যমে।

ফজর নামাজ কত রাকাত?

ফজর নামাজে ২ রাকাত সুন্নত ও ২ রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করতে হয়। ২ রাকাত সুন্নত ২ রাকাত ফরজ নামাজের আগে আদায় করতে হয়।

ফজর নামাজে অলসতা দূর করার উপায়

ফজর নামাজে সময় মত উঠার এবং অলসতা কাটানোর জন্য নিচে উল্লেখিত কয়েকটি উপায় অবলম্বন করতে পারেন।

শারীরিক প্রস্তুতি

ফজর নামাজে সময় মত উঠা বা অলসতা কাটিয়ে ঘুম থেকে উঠার জন্য শারীরিক প্রস্তুতি খুবই জরুরি।
ফজরে নামাজে উঠার জন্য শারীরিক প্রস্তুতি গুলো হলোঃ
  • তারাতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়া 
  • একাধিক এলার্ম দেয়া যেমন ফজর নামাজের সময় যদি ৫ টায় হয় তাহলে ৪.৩০, ৪.৩৫, ৪.৪০ এরম ভাবে একাধিক এলার্ম দেওয়া।
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বিছানায় ঘুমানো যাতে যটুকুই ঘুমান না কেন যেন ঘুমটা ভালো হয়।
  • অনেক পানি পান করা যাতে সকালে ওয়াশরুমে যেতে বাধ্য করে।
  • পরিবারের সদস্য যারা নিয়মিত ফজর নামাজ পড়তে অভ্যস্থ এমন কাউকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিতে বলে দেয়া।
ফজর নামাজে অলসতা কাটিয়ে সময় মত ঘুম থেকে উঠার ক্ষেত্রে এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক প্রস্তুতি হচ্ছে তারাতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া।

মানসিক প্রস্তুতি

এরপরে ফজর নামাজে উঠার জন্য যেই বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে মানসিক প্রস্তুতি। ফজরে নামাজে উঠার জন্য মানসিক প্রস্তুতি গুলো হলোঃ
  • ঘুমানোর আগে দোয়া করা, ঘুমানোর দোয়া পঢ়ে ঘুমানো।
  • ঘুমানোর পূর্বে দৃঢ় সংকল্পের সাথে মনকে বলা যে সকালে যেভাবেই হোক আল্লাহর সামনে উপস্থিত হতে হবে।
  • এলার্ম বেজে উঠলে আরও কিছুক্ষণ ঘুমাতে ইচ্ছে হবে এই ইচ্ছাটা পরিত্যাগ করার জন্য মনকে আগে থেকেই সতর্ক করা এবং এলার্ম বাজার সাথে সাথে উঠে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করা।
এইগুলোই হলো ফজর নামাজে উঠার ক্ষেত্রে মানসিক প্রস্তুতি। মনে মনে দৃঢ় সংকল্প করা যে আমাকে উঠতে হবে এমন মানসিক প্রস্তুতি থাকলে আপনি সময় মতো ফজর নামাজ পড়ার জন্য উঠতে পারবেন।

আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি

ফজর নামাজ পড়ার জন্য উঠতে আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি রয়েছে। সময় মত ফজর নামাজ আদায় করার জন্য আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি গুলো হলোঃ
  • ফজর নামাজ ফড়ার গুরুত্ব ও এবং এর প্রতি ভালোবাসা রাখা। 
  • ফজর ঘুম থেকে উঠার জন্য ঘুমানোর আগে আল্লাহর কাছে ঘুম থেকে উঠিয়ে দেয়ার প্রার্থনা করা।
  • ফজর নামাজ মিস হলে দুঃখবোধ করা।
ভুলবসত ফজর নামাজ মিস হলে হতাশ হওয়া উচিত নয় তাহলে পরের দিন ঘুম থেকে উঠার ক্ষেত্রে বিরধ বোধ করবে। নিজের উপর নির্ভর না করে আল্লাহর উপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত।

ফজর নামাজে অলসতা দূর করার ক্ষেত্রে প্রকৃত বাস্তবতা

যদি সকাল বেলা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ পরিক্ষা বা ইন্টারভিউ থেকে তাহলে এলার্ম বেজে উঠার সাথে সাথেই ঘুম থেকে উঠে পড়ি এবং কোন ধরনের বিরক্তিকর মনে হয়না। এর কারন হচ্ছে আপনার কাছে পরিক্ষা বা ইন্টারভিউটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


ফজর নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে এরকমটা না হওয়ার কারন হচ্ছে আপনি ফজর নামাজকে ঐ পরিক্ষা বা ইন্টারভিউর মতো গুরুত্ব দিচ্ছেন না। অর্থাৎ আপনি দুনিয়ার কাজকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করলেও পরকালকে দুনিয়ার কাজের মতো গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না। যারা ফঝর নামাজ পড়ার জন্য উঠতে পারে তারা দুনিয়া জীবনের অন্যান্য কাজের জন্য ও সময়মত উঠতে পারে। তাই তাদের জীবনে পরকাল ও ইহকাল দুইটি হাসিল হয়ে যায়‌।

যারা আল্লাহকে ভালোবাসে তারা দুনিয়া জীবনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুলোর চেয়ে ফজর নামাজকেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। তাদের কাছে দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ি কাজ গুলোর চেয়ে ফজর অনেক বেশি জরুরী।

শেষ কথা

আশাকরি ফজরের নামাজের সময় ঢাকা ২০২২ জানতে পেরেছেন। তাছাড়া কিভাবে ফজর নামাজে অলসতা দুর করা যায় সেটা নিয়েও আলোচনা করেছি। ফজরের নামাজের সময় ঢাকা নিয়ে কোন ধরনের সমস্যায় থাকলে কমেন্টে জানিয়ে দিন।

Please Share this On:

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url